আমার দৃষ্টিতে সেরা অনলাইন প্রফেশন – কন্টেন্ট রাইটার এবং ব্লগার:
অনলাইনে অনেকেই অনেক ধরনের কাজ করেন। একেক জনের একেকটা প্রিফেয়ারড ডেসটিনেশন আছে। ঠিক তেমনই আমি আজকে আমার পছন্দের দুইটা ব্যাপার নিয়ে লিখতে বসলাম।
আমার প্রথম পছন্দের প্রফেশন হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটার।
কন্টেন্ট রাইটার
কীভাবে কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে নিজের পেশা শুরু করবেন?
কন্টেন্ট রাইটিং খুবই চ্যালেঞ্জিং একটা পেশা। শুধু ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা থাকলেই ভালো কন্টেন্ট রাইটার হওয়া যায় না। কন্টেন্ট রাইটার হওয়ার আগে আপনাকে হতে হবে ভালো একজন শ্রোতা। একজন কন্টেন্ট রাইটারের লাইফ স্টাইল ও অনেক বেশি রুটিন মাফিক হওয়া লাগে।
টুকটাক লেখা লেখির অভ্যাস হয়ত অনেকেরই আছে কিন্তু প্রফেশনাল ভাবে রাইটিং শুরু করতে চাইলে আপনাকে কিছু নিয়ম মানা লাগবে।
১. প্রতিদিন ইংরেজি প্র্যাকটিস করা লাগবে।
২. প্রচুর ইংরেজি মুভি দেখা লাগবে, সাবটাইটেল সহ। এতে করে পড়া এবং শোনা দুটো হবে।
৩. ইউটিউবে থেকে ইংলিশ ভিডিও দেখতে হবে।
৪. বেসিক গ্রামারে যেন কোন ভুল না হয় সে জন্য কিছু গ্রামার স্টাডি করতে হবে রেগুলার।
৫. ইংরেজিতে চিন্তা করার চেষ্টা করেন।
৬. সব সময় সহজ শব্দ ব্যবহার করবেন
৭. লেখা বা বলার মধ্যে যেন ন্যাটিভ একটা এসেন্ট থাকে সেটার জন্য চেষ্টা করবেন
৮. কিছু দরকারি এপ বা টুল ইউজ করতে পারেন
এটা কন্টেন্ট রাইটিং এর ফুল গাইড নয়, আপনাকে আরো ডিপ স্টাডি করতে হবে।
ব্লগার
একজন সফল ব্লগার হতে চাইলে আপনাকে নানা ব্যাপারে এক্সপার্ট হতে হবে। বিশেষ করে এস ই ও তে। অনেক ব্লগাররাই আর্টিকেলের জন্য রাইটার টিম তৈরি করে ফেলেন। বাট নিজে লিখে ব্লগিং করাটাই বেস্ট।
ব্লগার হতে চাইলে যা যা জানতে হবে-
ওয়ার্ডপ্রেস, এস ই ও, কন্টেন্ট রাইটিং, ডোমেইন-হোস্টিং কন্ট্রোল, এনালাইটিকস, সার্স কনসোল ইত্যাদি।
ব্লগিং এর স্টেপ গুলো –
১. টপিক বাছাই – একটা ব্লগ শুরু করতে চাইলে আপনাকে শুরুতেই একটা টপিক না নিস খুজে নিতে হবে। টপিকটা যেন অবশ্যই আপনার পছন্দের কিছু বা জানাশোনা কিছু হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন। ধরেন আপনি টপিক হিসেবে বাছাই করলেন ট্রাভেল। এখন আপনাকে ট্রাভেলের কিছু ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হবে। ক্যাটাগরি সিলেক্ট করলে ব্যাপারটা আরো ন্যারো এবং টার্গেটেড হয়ে আসে। ক্যাটাগরিটা আপনি সাইটে মেনু করে ও ব্যবহার করতে পারেন।
২. ডোমেইন-হোস্টিং – টপিক এবং মুল ক্যাটাগরি গুলো বাছাই করা হয়ে গেলে আপনাকে একটা ডোমেইন এবং হোস্টিং নিতে হবে।
ডোমেইন .com নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
৩. কিওয়ার্ড রিসার্স – ক্যাটাগরি অনুসারে একটা প্ল্যান করে কিওয়ার্ড বের করতে হবে।
৪. কন্টেন্ট রাইটিং – কিওয়ার্ড ফোকাস করে কন্টেন্ট লিখতে হবে, কন্টেন্ট যেন ৫০০+ ওয়ার্ডের হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৫. অন পেজ এস ই ও- কন্টেন্ট পোস্ট করার সময় অন পেজ এস ই ও চেক করে পোস্ট করতে হবে। এর জন্য ইয়োস্ট এস ই ও প্লাগিন ব্যবহার করতে পারেন।
৬. লিংক বিল্ডিং- সব শেষের কাজ হলো সাইটের জন্য অফ পেজ এস ই ও বা লিংক বিল্ডিং করা।
No comments:
Post a Comment